অনলাইনে প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন: যোগ্যতা, প্রক্রিয়া ও সুবিধা
বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধী নাগরিকদের জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করেছে যা এখন সহজেই অনলাইনে আবেদন করা যায়। বিনামূল্যে এবং ঘরে বসেই মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে এই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব, ফলে আর ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। যাচাই-বাছাইয়ের পর ভাতার অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং (নগদ বা বিকাশ) এর মাধ্যমে সরাসরি প্রাপককে প্রদান করা হয়, যা একদম দুর্নীতি মুক্ত এবং সচ্ছ পদ্ধতির উদাহরণ।
কাদের জন্য এই ভাতা
প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে হলে নিচের যোগ্যতাগুলি পূরণ করতে হবে:
- স্থানীয়তা: আবেদনকারীকে অবশ্যই নিজ এলাকার সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
- প্রতিবন্ধী নিবন্ধন: ২০১৩ সালের “প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন” অনুসারে সমাজসেবা কার্যালয় থেকে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র নিতে হবে।
- আয়ের সীমা: বার্ষিক আয় ৩৬,০০০ টাকার কম হতে হবে।
- বয়স: ৬ বছরের বেশি বয়সের সবাই আবেদন করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ১৮ বছরের বেশি হলে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ১৮ বছরের নিচে হলে জন্ম নিবন্ধন সনদ
- প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র বা সুবর্ণ নাগরিক কার্ড
- সক্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের নম্বর (নগদ বা বিকাশ)
অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন: সমাজসেবা অধিদপ্তরের (http://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং প্রতিবন্ধী ভাতা নির্বাচন করুন।
- প্রাথমিক তথ্য প্রদান: জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধনের তথ্য দিয়ে যাচাই করুন।
- অতিরিক্ত তথ্য পূরণ: যেমন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আয়, স্বাস্থ্যগত তথ্য, যোগাযোগের ঠিকানা।
- নিশ্চিতকরণ: সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর আবেদনটি জমা দিন এবং প্রিন্ট করে নিন।
- সুপারিশ গ্রহণ: ফর্মে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বা পৌর কাউন্সিলরের স্বাক্ষর নিয়ে সমাজসেবা অফিসে জমা দিন।
ভাতা কত টাকা এবং কখন দেওয়া হয়
বর্তমানে প্রতিবন্ধী ভাতা মাসিক ৮৫০ টাকা যা প্রতি তিন মাস পর পর বিকাশ বা নগদে পাঠানো হয়।
কিছু প্রয়োজনীয় দিক
এই ভাতার জন্য সুবর্ণ নাগরিক কার্ড প্রয়োজন, যা www.dis.gov.bd থেকে আবেদন করে সংগ্রহ করতে হয়। নিবন্ধনের পর স্থানীয় সমাজসেবা অফিস থেকে এই কার্ড গ্রহণ করতে হবে।
এই নিবন্ধটি পড়ে সহজেই প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং এর সুবিধা নিতে পারবেন।